টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায়
আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে টাকা ছাড়া ব্যবসা করা যায় এবং তা কিভাবে শুরু করবেন এবং কিভাবে দাঁড় করাবেন। একটি ব্যবসা আপনার সারা জীবনের আয়ের উৎস হতে পারে ,
পেজ সুচিপত্র-যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুনঃ
- টাকা ছাড়া ব্যবসা করার কিছু দারুন ট্রিকস
- ব্যবসা কত প্রকার কি কি ??
- ব্যবসার আইডিয়া কিভাবে পাবেন ??
- ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন ??
- ডিজিটাল মার্কেটিং করে ব্যবসাকে বড় করুন
- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক কয়েকটি ব্যবসা আইডিয়া
- শেষ কথা
টাকা ছাড়া ব্যবসা করার কিছু দারুন ট্রিকস
বিনিয়োগকারী খুঁজুন : প্রথমেই আপনার একজন ব্যবসা দাড় করাতে প্রয়োজন বিনিয়োগকারী যিনি আপনার ব্যবসাতে টাকা ইনভেস্ট করবে । আপনার কাছে যদি একটি ভালো বিজনেস আইডিয়া থাকে, তাহলে আপনি আপনার ব্যবসা দাড় করানোর জন্য সেই বিনিয়োগকারীকে আইডিয়া শেয়ার করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার পুরো টাকা হয়তো পেয়ে যেতে পারেন।
আপনার দক্ষতা বাড়ান : আপনি চাইলে নিজেকে উন্নত করে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেনি এবং কোন বিশেষ বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এসবের মাধ্যমেও টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় খুঁজতে পারেন
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন : সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি চাইলে আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন। আবার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
ভালো পণ্য ও সেবা প্রদান করুন : আপনি যদি ক্রেতাদের কাছে ভালো পণ্য বা যত্ন সহকারে সেবা প্রদান করেন তবে গ্রাহকরা আপনার পণ্য বা সেবার উপরে অবশ্যই আকর্ষিত হবে তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হতে পারে।
একটি টিম গঠন করুন : আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে ভবিষ্যতে আরও বড় বা উন্নত করতে চান তাহলে আপনি কিছু বিশ্বস্ত কর্মী নিয়োগ দিতে পারেন, এবং তাদের নিয়ে একটি তিন গঠন করতে পারেন এতে করে আপনার দক্ষতা এবং ব্যবসা স্থায়িত্ব বাড়বে।
ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি
ব্যবসা সাধারণত তিন [৩] প্রকার :
- শিল্প ব্যবসা
- বাণিজ্য ব্যবসা
- সেবা ব্যবসা
এর মধ্যেও আবার ব্যবসা পাঁচ প্রকার : ⬇️⬇️
- যৌথ মূলধনী ব্যবসা
- অংশীদারী ব্যবসা
- সরকারি ব্যবসা
- সমিতি
ব্যবসার জন্য আইডিয়া কিভাবে পাবেন
ব্যবসায়িক আইডিয়া পেতে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন
নিজেকে যাচাই করুন :আপনার ভালো লাগার বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন, কি করতে ভালো লাগে আপনার। কি ধরনের দক্ষতা আপনার কাছে ইতিমধ্যে উপস্থিত।আপনি কিসের ব্যবসা শুরু করতে চান ভালো করে চিন্তা করুন।
তাড়াহুড়ো করবেন না কারণ এটি আপনার একসময়ের আয়ের উৎসও হতে পারে আপনার নিজেকে যাচাই করা খুব সহজ হবে যদি আপনি আপনার ভালো লাগার বিষয় দক্ষতা অনুযায়ী বুঝতে পারেন।
গবেষণা করুন ও তথ্য খুঁজুন : আপনি ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে পেতে পর্যন্ত গবেষণা করুন আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত এবং প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করুন। আপনার শহরে বা এলাকায় দেখুন কোন ব্যবসাটি ভালো চলবে বা আপনার বেচা-কেনা হবে।
তাড়াহুড়ো করে এমন ভেবে করে বসবেন না যা আপনার জন্য উপকার বয়ে আনবে না। অন্যথায় আরো আপনার টাকাগুলো নষ্ট বা লস হতে পারে তাই যে ব্যবসাই করুন আগে সেই বিষয়ে তথ্য সংরক্ষণ করুন।
সর্বপ্রথম আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন : প্রথমেই আপনি আপনার লক্ষ্যের ওপরে স্থির থাকুন। আসলে আপনি কি করতে চাচ্ছেন সেটা আপনার ব্যবসাকে আরো উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
মানুষের প্রয়োজন ও সমস্যা খুঁজুনঃ একটি ভালো ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য প্রথমেই মানুষের চাহিদা বা মানুষ কি নিয়ে সমস্যায় আছে কোন জিনিসটি মানুষ হাতের কাছে পাচ্ছে না, তা খুঁজে বের করুনমানুষের প্রয়োজন মত আপনি যদি পণ্য বা সেবা দিতে পারেন তবে মানুষ আপনাকে আলাদাভাবে চিনবে বা আপনার দিকে আকর্ষিত হবে, তবে বুঝতেই পারছেন এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখা খুবই প্রয়োজন।
ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন জেনে নিন
একটি সুন্দর পরিকল্পনা করুন : ব্যবসা করার আগে আপনার পরিকল্পনা খুবই জরুরী। আপনি যদি পরিকল্পনা মত কাজ করেন তবে আপনার কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন অবশ্যই হবে আর আপনি যদি অগোছালোভাবে কাজ করেন তবে আপনার ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ব্যবসায়িক নীতিমালা তৈরি করুন : আপনাকে একটি ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই বিজনেস নীতিমালা তৈরি করতে হবে এবং তা আপনি সহ আপনার যদি কর্মচারী থাকে তাদের সহমত থাকতে হবে।
বিজনেস লাইসেন্স : ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আপনাকে আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বিজনেস লাইসেন্স এর অনুমোদন নিতে হবে। নয়তো পরবর্তীতে অবৈধ ব্যবসা বলে প্রেম আসতে পারে।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তৈরি করুন : ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আপনাকে একটি আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে কার্তিক সহায়তা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক বা লোন দাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনি মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরি করুন : মার্কেটিং ছাড়া যেন সবই অচল। তাই আপনাকে মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে এতে আপনার ব্যবসার উন্নতি এবং প্রফিট বাড়বে।
ব্যবসায়িক সরঞ্জাম : আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী অন্য উৎপাদনের জন্য বা সেবা দানের জন্য কি কি সরঞ্জাম প্রয়োজন তা আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনার ব্যবসাকে বড় করার নিয়ম জেনে নিন
ই-কমার্স একটি সাইট তৈরি করুন : ই-কমার্স ওয়েবসাইট হলো অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে পারবেন।
লেন্ডিং পেজ তৈরি করুন : আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি সাইট খুবই প্রয়োজন। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে এবং তার সম্পর্কিত একটি সাইট তৈরি করুন যা আপনার ব্যবসা উন্নতি করতে সাহায্য করবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুনঃ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা মার্কেটিং করতে পারবেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার দিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং করুন : ইমেইল মার্কেটিং করে আপনি আপনার ব্যবসার বিভিন্ন পণ্য বা সেবা বা মানুষের কাছে মুহূর্তের মধ্যে গোছাতে পারবেন। বর্তমানে ইমেইল মার্কেটিং এর প্রসার বেড়ে চলেছে তাই এটিকে বাদ দিলে চলবে না।
বর্তমানের সবচেয়ে লাভজনক কয়েকটি ব্যবসা আইডিয়া
- আপনি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিজনেস আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন
- আপনি হাতে বোনা তৈরি সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন
- আপনি ছবি তুলে ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন বা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে এই ছবি বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারেন
- আপনি ফলের ব্যবসা করতে পারেন
- আপনি ক্যাটারিং সার্ভিস এর ব্যবসা করতে পারেন
- আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সী দাঁড় করিয়ে ইনকাম করতে পারেন
- আপনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারেন
- আপনি টি শার্ট এর ব্যবসা করতে পারেন
- আপনি রেস্টুরেন্ট থেকে এত তাড়াতাড়ি ইনকাম করবেন যে অন্য ব্যবসায় এত তাড়াতাড়ি করা সম্ভব নয়
লেখকের শেষ কথা
আশা করছি ব্যবসা সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যথেষ্ট ধারণা পেয়ে গেছেন এই নিয়ম গুলো মেনে যদি ব্যবসা শুরু করেন তবে ব্যবসা অবশ্যই ভালো হবে কিন্তু আপনার সব ধরনের ব্যবসা করতেই পরিশ্রম করতে হবে আপনি পরিশ্রম ছাড়া কোন কাজই করা অসম্ভব। এরকম আরও আর্টিকেল পড়তে চোখ রাখুন আমাদের ওয়ে্যেবসাইটে, ধন্যবাদ 😊😊
প্লাস পয়েন্ট আইটির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url