ড্রাগন ফলের উপকারিতা। বিস্তারিত জানুন
ড্রাগন ফল বর্তমানে এমন একটি ফল যেটি প্রায় সব ধরনের মানুষই খেতে পছন্দ করে এবং সবাই চেনে কিন্ত এর উপকারিতা বা পুষ্টিগুন সম্পর্কে জানেন না। আপনারাও হয়ত ড্রাগন ফলের নাম অবশ্যই শুনেছেন , কিন্তু এই ফলের উপকার সম্পর্কে জানেন না তারা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন এর উপকার ও পুষ্টিগুন সম্পর্কে।
ড্রাগন ফল একটি গ্রীষ্মকালিন ফল। এই ফল মানুষ বাণিজ্যিকভাবে আবার বাড়ির উঠানেও টবে চাষ করেন। এটি এমন একটি ফল যার প্রতি কোষে কোষে জলীয় অংশ থাকায় পানি শূন্যতা কাটিয়ে তুলতে সহায়ক। তো চলুন জেনে নেয়া যাক এর পুষ্টিগুণ অ উপকারিতা সম্পর্কে।
পোস্ট সুচিপত্র-যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুনঃ
- ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুন
- ত্বক এর যত্নে ড্রাগন ফলের ভুমিকা
- গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকার
- ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
- ড্রাগন ফল কত প্রকার কি কি ??
- ড্রাগন ফল কেন খাবেন ??
- সুস্থতায় ড্রাগন ফল
- শেষ কথা
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তবে পড়তেই থাকুন, ড্রাগন ফল খাওয়ায় শরীরে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে, ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন বি এবং ফোলেট শরীরের জন্য ভাল ব্যকটেরিয়ার মাত্রা বাড়াতে সহায়ক, প্রতিদিন ড্রাগন ফল খেলে ডায়াবেটিস এর ঝুকি কমে এবং এর মধ্যে থাকা কালজিরার মত দানা গুলোতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ওমেগা নাইন ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ তাই ড্রাগন ফল এত উপকারি ।
ড্রাগন ফল হার্ট এর জন্যও অনেক ভাল একটি উপাদান।এছাড়াও আরো কিছু উপকার হল ঃ
- ঘুমে ঘনত্ব বাড়ে
- পেটের বিষাক্ত উপাদান দূর করে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- সুগার নিয়ন্ত্রন করে
- ক্যান্সার এ প্রতিরোধশিলতা বাড়ে
- মনোবল অ মানসিক সাস্থ বজায় রাখে
- সাস্থর জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর
- সাস্থকর চর্বির পরিমান বাড়ায়
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তবে পড়তেই থাকুন,
- প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলের পুষ্টি তালিকা
- প্রোটিন ০.১৫-০.৫ গ্রাম
- আয়রন ০.৩-০.৭ মিলিগ্রাম
- শর্করা ৯-১০ গ্রাম
- ফসফরাস ১৬-৩৫ গ্রাম
- জলীয় অংশ ৮০ গ্রাম
- ভিটামিন বি ৩ - ০.২-০.৪ মিলিগ্রাম
- খাদ্য শক্তি ৩৫-৫০
- ক্যালসিয়াম ৬-১০ মিলিগ্রাম
- ফ্যাট ০.১০-০.৬ মিলিগ্রাম
ত্বক এর যত্নে ড্রাগন ফলের ভুমিকা
ত্বক এর যত্নে ড্রাগন ফলের ভুমিকা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তবে পড়তেই থাকুন, আপনি চাইলে দ্রাগন ফল দিয়ে আপনার ত্বক এর যত্ন করতে পারবেন কিন্তু কিভাবে ??? এই প্রশ্ন মনে মনে আসা টা স্বাভাবিক , নিচের নিয়ম গুল মেনে আপনি আপনার ত্বক এর যত্ন নিতে পারেন ড্রাগন ফল দিয়ে ☺
- ১ টি মাঝারি সাইজের ড্রাগন ফল নিন
- ২ চামচ বেসন
- ৪ চামচ কাচা দুধ
- ১ চামচ টক দই
এগুল একত্র করে মিশ্রন বানিয়ে প্যকটি ঘাড়ে এবং মুখে লাগিয়ে রাখুন এরপর আঙ্গুল দিয়ে ম্যসাজ করুন ২০-২৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন । ড্রাগন ফলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ত্বক এর ক্ষত গুল এবং ত্বক মসৃণ করে তোলে ।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা জানা না থাকলে আপনি কখনো গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া বাদ দিবেন না । কারন গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল ক্ষতিকর তা এখনো প্রমান হয়ণই আর হবেও না । বরং আরো উপকার অবাক করার মত ।
ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন বি নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ভ্রনের হাড়ের বিকাশ ঘটায়। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম,মহিলাদের পোস্টমেনপজাল জটিলতার বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে ।
গর্ভাবস্থায় শরীরে আয়রন ও ওমেগা ৩ এর ঘাটতি পুরনে অনেক সময় ক্যাপসুল খাওয়া লাগে , সেক্ষেত্রে ড্রাগন ফল এর প্রকৃত উৎস, ড্রাগন ফল খাওয়া কত উপকারি আপনি নিযেই জানেন না , এই ফলটি গর্ভাবস্থায়ও খাওয়া যাবে ।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম বলতে তেমন কিছু নিয়ম নেই তবে অন্যান্য ফলের মত একে কেটে খেতে পারেন। আপেলের মত চার কুচি করে কেটে খেতে পারেন, ড্রাগন ফলের খোসা জুস করে খেতে পারেন আবার সালাদ করেও খেতে পারেন। কিন্তু রান্না করে খেলে তাপে পুষ্টিগুণ নস্ট হয়ে যায় ।
তাই রান্না না করে খাওয়াই ভালো । রাতের খাবার শেষে খাওয়া উত্তম এভাবে রাতে খেলে আপনার রাতের ঘুম ভাল হবে ।
ড্রাগন ফল কত প্রকার কি কি ??
অনেকেই ড্রাগোণ ফোল কত প্রকার জানতে চাই , ড্রাগন ফলের বেশ কয়েকটি জাতও রয়েছে । এগুল বিভিন্ন আবহাওয়া তে হয়ে থাকে । এটি উদ্ভাবন হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এ । জাত গুল হলো ঃ
- বারি-১
- বাউ ড্রাগন-১
- বাউ ড্রাগন-২
- বাউ ড্রাগন-৩
এই চার প্রজাতির ড্রাগন বাংলাদেশে রয়েছে ।
ড্রাগন ফল কেন খাবেন ??
প্রচুর ভিটামিন সি মেলে ড্রাগন ফলে । ড্রাগন ফল আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন ড্রাগন ফল । শরীরের উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্য বৃদ্ধি করে এবং আয়রন এর চমৎকার উৎস । এছড়াও আপনার রোগ প্রতিরধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে ।
সুস্থতায় ড্রাগন ফল
সুস্থতায় ড্রাগন ফল সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তবে পড়তেই থাকুন,
- বেশি বেশি এন্টিওক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
- এই ফল ফাইবার সমৃদ্ধ ও ফ্যাট ফ্রী তাই নিশ্চিন্তে ডায়েট লিস্ট এ রাখতে পারেন ।
- আয়রন এর চমৎকার উৎস ।
- ক্যান্সার এর ঝুকি থেকে রক্ষা করে ।
- রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে
শেষ কথা
আশা করি আপনি পোস্টটি পড়ে উপক্রিত হয়েছেন এখানে সংক্ষিপ্ত ভাবে ড্রাগন ফলএর উপকার নিয়ে বুঘাতে চেয়েছি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন । এরকম আরও আর্টিকেল পড়তে চখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে ......ধন্যবাদ😊
প্লাস পয়েন্ট আইটির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url