ভেন্না গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন । বিস্তারিত জানুন

আপনি হয়তো জানতে এসেছেন ভেন্নার গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানাব এই অবহেলিত গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত । 

ভেন্না গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন । বিস্তারিত জানুন
ভেন্নার গাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ুর্বেদিক ঔষধের কাজ করে যাচ্ছে তো এই ভেন্না নিয়েই আরো কিছু উপকারের কথা আমি আপনাদের বলবো। এই গাছের উপকারিতা অনেক জানলে অবাক হবেন । ত জানতে হলে পড়তে থাকুন ।

পোস্ট সূচীপত্র

ভেন্না গাছের ছালের উপকারিতা 

১.খোশ চুলকানি ঢেন্নার ছাল বাটার সঙ্গে ঘোড়ার সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে তাড়াতাড়ি চুলকানি সেরে যায়।

২.প্রসাব স্বল্পতায় কাঁচা ছাল ১৫ থেকে ২০ গ্রাম মাত্রায় তিন কাপ পানিতে সেদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে সকালে বা বিকালে একবার খেলে 

ভেন্না গাছের পাতার উপকারিতা 

১.চোখ ওঠায় ভেননা পাতার রস একটু গরম করেছে কে ওই চোখে এক ফোটা দিলে সেরে যাবে।। 

২.কচি পাতা চার থেকে পাঁচ গ্রাম সেদ্ধ করে সেই পানি খেলে মাথা ব্যথা কমে যায়। 

৩.মাথা ভার ও যন্ত্রণায় ৬ গ্রাম কচি পাতা সেদ্ধ পানি খেলে কমে যায়। 

৪.রাতকানা রোগে ১০ থেকে ১২ গ্রাম পাতা ঘি এ ভেজে বা শাকের সঙ্গে ভেজে খেলে তা কমে যায়। 

৫.রক্তস্রাব ভালো না হওয়ায় তলপেটে ব্যাথার ক্ষেত্রে ভেননা পাতা গরম করে তলপেটে বসিয়ে রাখুন থেকে তিন দিন লাগালে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন 

ভেন্না গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন

ভেন্নার তেল এর উপকারিতা 

  1. ভেন্নার তেল অত্যান্ত পুস্টিকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন থাকায় স্বাস্থ্যর জন্য খুব ভালো।
  2. তাছাড়া ভেন্নার তেল দিয়ে অসাধারন রান্না করা যায়।
  3. এতে থাকা ভিটামিন ই আমাদের চুলকে ঘন ও ন্যচারাল রাখতে সহায়তা করে। 
  4. অকালে চুল পাকা থেকে রোধ করে।
  5. ত্বক যেন রোদে পুড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখে। 
  6. নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। 
  7. গোড়ালির ফাটা স্থান স্বাভাবিক করে।
  8. ভ্রুতে ব্যবহার করলে ভ্রুর   সৌন্দয বৃদ্ধি করে। 
  9. কোথাও কেটে গেলে ভেন্নার তেলের সঙ্গে হলুদ গুড়া মিশিয়ে চেপে বেধে দিলে রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে এবং তারাতারি ঘা সুকিয়ে যাবে।
  10. পোড়া জায়গায় লাগালে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ভাল হয়ে যাবে।
  11. ফুড প্যকেজিং এ ভেন্নার তেল ব্যবহার করা হয়। 

বীজের ব্যবহার 

১.ভেন্নার বীজের সাজ বেটে গরম করে ফোঁড়ার উপরে লাগালে পেকে যায়। 

২.সায়টিকা বাতের ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৭ টি ২০ বেটে দুধের সঙ্গে পায়েস করে খেলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

চাষ পদ্ধতি 

আমাদের দেশে ভেন্নার প্রায় আটটি জাত রয়েছে বাংলাদেশ জলবায়ু এবং আবহাওয়া ভেননা গাছ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ভেন্যাগাজ যে কোন ধরনের উর্বর মাটিতে চাষাবাদ করা যায় তবে ভেন্না গাছ চাষাবাদ করার জন্য সব থেকে উপযুক্ত মাটি হল বেলে দোআঁশ মাটি ভেন্না গাছ বর্ষার আগে করার সময় চাইলে বছরের যে কোন সময় ভেন্না গাছ রোপন করতে পারবেন। 


ভেন্না গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন
রোপনের জন্য প্রথমে মাটি আগাছা পরিষ্কার করে তিন থেকে চারটি চার্জ দিতে হবে অনেক সময় একটি চারা আরেকটি চারার দূরত্ব কমপক্ষে 50 সেন্টিমিটার রাখতে হবে একটি শাড়ি থেকে আর একটি শাড়ির দূরত্ব ৯০ থেকে ১০০ মিটার রাখতে হবে ভেন্না গাছ চাষাবাদ করতে খুব বেশি চোখের প্রয়োজন হয় না ভেন্না গাছ রোপনের থেকে ১৫০থেকে ১৭০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায় 

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক গাছের উপকারিতা ঔষধি গুনাগন এবং চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদেরকে আশা করি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।। ধন্যবাদ 😊😊

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্লাস পয়েন্ট আইটির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url