ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে ইচ্ছুক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সহ আরও বিস্তারিত তথ্য তো চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সহ আরও বিস্তারিত তথ্য ।


তাছাড়াও আপনি চুলেও এই ক্যাপসুল ব্যাবহার করতে পারেন , এই ক্যাপসুল আপনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাবহার করতে পারেন হাতে পায়ের তালুতে সহ আরও বিভিন্ন অঙ্গে তবে জানতে হলে পুরোটা পড়তেই থাকুন ।

পোস্ট সূচিপত্র:যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন -

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো তা নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে যে কোনটা ব্যাবহারে শরীরে বা ত্বকে ক্ষতি হবে না আর কোনটাই বা ভালো তো চলুন জেনে নেয়া যাক কোনটা ভালো আর সেগুলোর নাম কি তবে জানতে অবশ্যই পুরোটা পড়তেই থাকুন ।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৩ ধরনের রয়েছে এর মদ্ধে রয়েছে ঃ Evion , Nature Made , Solgar তো চলুন এগুলো ব্যাখ্যা করে দেখা যাক ।
Evion : Evion হচ্ছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সরবহকারি কোম্পানি । এই কোম্পানীর ই ক্যাপসুল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ।
Solgar : Solgar হচ্ছে ই ক্যাপসুল তৈরিকারক কোম্পানী । এই কোম্পানীর ই ক্যাপসুল শরিরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রাখে ।
Nature Made : Nature Made হচ্ছে ই ক্যাপসুল তৈরিকারক কোম্পানী । এই কোম্পানীর ই ক্যাপসুল ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয় ।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না এই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্বন্ধে তো চলুন জেনে না যাক ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে।

প্রথমত আপনাকে এই ক্যাপসুল টি মুখে ব্যবহারের যোগ্য করতে হবে এবং আপনার মুখটি সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করে নিন তারপর ক্যাপসুল টি থেকে তেল বের করতে হবে প্রথমত আপনি ক্যাপসুলটি কাচি দিয়ে এক প্রান্ত কেটে নিন কাটার পর ভেতরের থাকা তেলটি বের করে নিন। ভেতর থেকে বের করা তেলটি সরাসরি আপনার ত্বকের যেখানে ব্যবহার করতে চান সেখানে প্রয়োগ করুন ।

তবে আপনি যেকোনো প্রেমের সাথে মিশিয়েও এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনি এটি রাতে লাগালে উত্তম কারণ এটি কাজ করতে একটু দেরি করে আপনি যদি লাগিয়েই এক ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলেন তবে এটি কাজ করবে না আপনি যদি এটি লাগিয়ে ৫/৬ ঘন্টা মুখে রাখেন তবে এটি উত্তম কাজে দেবে।

তবে আপনাকে একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে এটি যখন আপনি লাগাবেন আপনি যদি প্রথমবার লাগিয়ে থাকেন তবে লাগিয়ে পরীক্ষা করুন সরাসরি হঠাৎ প্রভাব ফেললে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তবে ডাক্তারের পরামর্শে প্রয়োগ করা উত্তম।

চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তবে এ অংশটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন । চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের জন্য কিছু কিছু নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে একটি ই ক্যাপসুল এর তেল দুই চামচ নারকেলের তেল পাও অলিভ অয়েল এর সাথে মিশিয়ে নিন ।

প্রয়োগ করার জন্য প্রথমত আপনি মাথায় শ্যাম্পু দিতে পারেন তবে আপনার মাথায় একটুহলেও ভালো কাজ করবে তাছাড়াও এটি ব্যবহারে আপনার চুল শাইন করবে। এবং চুল সুন্দর কালো দেখাবে। এছাড়াও এটি চুলে লাগিয়ে প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করুন। আপনি চাইলে এটি ঘুমানোর সময় লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন এটিতে কোন রং নেই অতএব আপনার বিছানা নষ্ট হবে না।

তারপর আপনি এটি কে ধুয়ে ফেলুন ভালো ফলাফলের জন্য তিন থেকে চার সপ্তাহ দুই তিন বার করে ব্যবহার করতেই থাকুন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম

ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম বানাতে চাচ্ছেন তবে এই অংশটি সম্পূর্ণ করতে থাকুন এই অংশে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে কিভাবে নাইট ক্রিম তৈরি করবেন। দেরি না করে শুরু করা যাক ।

প্রথমত আপনি আপনার ব্যবহারকৃত যেকোনো একটি ভালো ক্রিম বাছাই করবেন যেটি মুখে দিয়ে আপনি কমফোর্টেবল ফিল করেন। তারপর সেই ক্রিমের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুলে তেল বের করে মিশিয়ে নিন মুখে ব্যবহার করুন এটি আপনি রাতে ব্যবহার করে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।

বাজে কোন সময় লাগাতে পারেন সেটি আপনার ইচ্ছা তবে এ দুই থেকে তিন ঘন্টা রাখতে হবে নয়তো কার্যকরী ফলাফল পাবেন না ।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ খাওয়ার নিয়মঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি জানতে চান তবে সম্পূর্ণটি পড়তে থাকুন। এই অংশে আমরা আলোচনা করব ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল ৪০০ আইইউ সাধারণত সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয় এটি শরীরের অনেক সুবিধা প্রদান করে। তো যাই হোক তারের নির্দেশ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত এবং অতিরিক্ত মাত্রায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার আগেই আপনি প্রামর্শ নিয়ে এটি গ্রহণ করুন নিচে ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করার সঠিক নিয়ম দেয়া হলো ঃ

ডোজঃ প্রতিদিন একটি করে (৪০০) ই ক্যাপসুল গ্রহণ করা বয়স্কদের জন্য যথেষ্ট তবে চাহিদার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে
 
কখন গ্রহণ করবেনঃ
ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি চর্বি জাতীয় ভিটামিন তাই একই খাবারের সাথে বা পরে নেওয়া ভালো এটি শরীরকে আরো ভালোভাবে শোষণ করতে দেয়।
 
ডোজ প্যাটার্নঃ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ক্যাপসুল খাওয়ার চেষ্টা করুন পালের নাস্তা বা রাতের খাবারের পরে খেতে পারেন।
 
পানিঃ খাওয়ার পরে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন খাওয়ার। সতর্কতা বাণীঃঃ আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তবে এই ক্যাপসুল গ্রহণ করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে ভুলবেন না খুব বেশি ভিটামিন ই অতিরিক্ত গ্রহণ করলে করলে তাতে আপনার রক্তপাতের ঝুকি বাড়তে পারে।

বিশেষ করে যদি আপনি রক্ত পাতলা করার মতো ওষুধ খান খুব বেশি ভিটামিন ই গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য সমস্যা হতেই পারে তাই চিকিৎসরকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি সাপ্লিমেন্ট এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এ অবস্থায় আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অতি জরুরী।

ভিটামিন ই ক্যাপসুলের দাম কত 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম কত আপনি হয়তো জানেন না অথচ এটা আপনার প্রয়োজন তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন ই ক্যাপসুলের কি ধরনের দাম। তবে জানতে হলে অবশ্যই নিজের অংশটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন ।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম ব্র্যান্ড কোম্পানি ও দেশের মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে বাংলাদেশ বিভিন্ন ব্যান্ডের ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায় যেমন।।
Evion 400 (( ম্যানকাইন্ড ফার্মা ))
প্রতি প্যাকের দাম সাধারণত 100-150 সাথে ১০ ক্যাপসুল ।

ই ক্যাপ ৪০০ (( স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল ))
প্রতিপ্যাক এর দাম সাধারণত 80-100 সাথে ১০ ক্যাপসুল ।

Vite E 400 (( ফার্মাসিটিক্যালস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ))
এক প্যাক এর দাম 90-100 সাথে ১০ ক্যাপসুল ।

আলট্রা ভিটামিন ই (( বিভিন্ন ব্র্যান্ড ))
দশটি ক্যাপসুল এর দাম সাধারণত 70- 120 পর্যন্ত হয়ে থাকে ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ দাম সময়ের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হতে পারে এটির জন্য প্লাস পয়েন্ট আইটি দায়ী নহে ।
তৈলাক্ত ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহার ।

তৈলাক্ত ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহার করা যেতে পারে । তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন । এটি ব্যাবহারে যেমন আপনার শারীরিক উন্নতি হবে তেমনি আবার ব্যবহার করতে না জানলে সেটি আপনার শরীরের ক্ষতি ও করতে পারে তাই ব্যবহারে সবসময় সাবধান থাকবেন ।




এটি অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে যেতে পারে। এখানে কিছু পরামর্শ আছে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পরামর্শ গুলো সম্পর্কেঃ

সঠিক পরিমানঃ ত্বকে সরাসরি প্রয়োগ করার আগে এক ফোটা বা দুটি ভিটামিন এই ক্যাপসুল প্রয়োগ করুন। পুরো ক্যাপসুল ব্যবহার না করাই ভালো।

একটি মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেনঃ ভিটামিন ই তেল সরাসরি আপনার ত্বকে প্রয়োগ করার পরিবর্তে আপনি এটি ক্রিম বা এলোভেরা জেল এর সাথে মিশাতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারবে না ফেলতে পারবে না।

রাতে ব্যবহার করার নিয়মঃ প্রথম ব্যবহারের আগে ত্বকের একটি ছোট অংশে যেমন কানের পিছে কোন প্রতিক্রিয়া না হলে এটি ত্বকের অন্যান্য অংশ ব্যবহার করা যেতে পারে এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করে নেওয়া ভালো কারণ ত্বকে ব্যবহারের পর যদি আপনার ত্বকের ক্ষতি হয়ে যায় তখন বড় একটি ভুলের সম্মুখীন হবেন।

সপ্তাহে একবার বা দুইবার ব্যবহারঃ সপ্তাহে একবার বা দুইবারের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো এটি ত্বককে বেশি তৈলাক্ত করে না ।

জালা পোড়াঃ আপনার তকে ভিটামিন ই ব্যবহার করার পরে আপনি যদি কোন বাবা ব্রন ব্রেক আউট অনুভব করেন তবে ব্যবহার বন্ধ করুন এবং একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনার ত্বককে উজ্জ্বল ও মুসলিম রাখতে সাহায্য করে তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি সাবধানে এবং সঠিকভাবে ত্বকের উপর ব্যবহার করতে পারা । আপনি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে এটি কখনো আপনি ত্বকের উপর প্রভাব ফেলবে না ।

লেখকের শেষ কথা 

এ আর্টিকেলটিতে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, তা মুখে ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আপনার যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তবে এরকম আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে ভিজিট করতে থাকুন প্লাস পয়েন্ট আইটি । ধন্যবাদ।।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্লাস পয়েন্ট আইটির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url