গলা ব্যাথার ঔষধের নাম - দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ঔষধ
গলা ব্যাথার ঔষধের নাম দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ঔষধ নিয়ে জানতে চাচ্ছেন তবে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব গলা ব্যাথার ঔষধ সম্পর্কে
আপনারা অনেকেই গলা ব্যথা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন জানেন সেটার জালা কতটুকু বিশেষভাবে এই সমস্যা শীতকালে বেশি দেখা যায় তো চলুন জেনে নেয়া যাক গলা ব্যাথার দারুন কিছু ঔষধের নাম নিয়ে।
পোস্ট সুচিপত্র ঃ যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন -
- গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
- গলা ব্যথা হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত
- বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
- গলা ব্যথা অবস্থায় গরম পানি খেলে কি হয়
- ঠান্ডা আবহাওয়ায় গলা ব্যাথা হলে করণীয়
- ঢোক গিলতে গেলে গলা ব্যাথা হলে করণীয়
- ঘরোয়া উপায়ে গলা ব্যাথা কমানোর উপায়
- দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর উপায়
- গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম
- শেষ কথা
গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
গলা ব্যাথার ঔষধের নাম নিয়ে আপনার জানা নেই এই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব গলা ব্যথার কিছু দারুন কার্যকর ঔষধ নিয়ে তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাকঃ
- রাক্সিম O (100 mg) Tablet
- সেফিনার (100 mg) Tablet
- ক্লাফোরেন (100 mg) Tablet
- পেডিক্সিম (100 mg) Tablet
- ই-ফিক্স (100 mg) Tablet
পাঠক এই অংশে আলোচনা করার চেস্টা করছি গলা ব্যাথার ঔষধের নাম নিয়ে আশা করি এই টুকু জেনে উপক্রিত হয়েছেন ।
গলা ব্যথা হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত
গলা ব্যথা হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত তা নিয়ে আপনি চিন্তিত তবে এই আর্টিকেলটি আপনাকে জানতে সাহায্য করবে তো চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক গলা ব্যথা হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত তা নিয়ে বিস্তারিতঃ
গরম পানিয়ঃ গরম চা , গরম পানি বিশেষ করে আদা বা মধু দিয়ে মিক্স করে খেলে আরাম পাওয়া যাবে।
মধুঃ মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক এবং গলা শিতল করতে সহায়তা করে এটি করলে খুব আরাম বোধ হয়।
লেবুর রসঃ লেবুর রসে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালি করে এবং গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
চিকেন স্যুপঃ চিকেন স্যুপ শরীরকে শীতল ও হাইড্রোটেড সমৃদ্ধ এছাড়াও প্রটিন এর ভাল উৎস।
মশলা সমুহঃ লবঙ্গ, আদা, এবং দারচিনি গলা ব্যথার জন্য দারুন কার্যকরী বিশেষ করে আদা চা বেশি করে খাওয়া যেতে পারে।
পনির বা তরমুজঃ তরমুজ গলা শিতল রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
কুসুম গরম দুধঃ দুধ এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে আন করতে পারেন এতে করে আপনার গলা সহজেই।
ইস্টার্ন উশ্নতাঃ গরম জলপাই তেল বা নারিকেলের তেল দিয়ে গলা ম্যাসাজ করা যেতে পারে এতে করে গলাটা শান্ত হবে।
এইগুলো কৌশল অবলম্বন করার পরেও সমস্যা থাকে তবে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত ।
বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম
বাচ্চাদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম নিয়ে আপনি জানেন না তবে এই অংশ টুকু আপনার জন্য এই অংশে আমরা আলোচনা করব বাচ্চাদের গলা ব্যথার ঔষধ নিয়ে তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাকঃ
- প্যারাসিটামলঃ এটি গলা ব্যাথা ও জ্বরের জন্য ব্যাবহার করা হয়।
- অবলেশনঃ গলা ব্যাথার কারনে কাশি হলে অবলেশন ট্যাবলেট খুবই কার্যকরী।
- আইবুপ্রোফেনঃ এটি জ্বর, ব্যাথা নিরাময়ে খুবই কার্যকরী।
- গ্লিসারিন গারগোলঃ গ্লিসারিন গারগোল আপনার ব্যাথার জন্য ভালো কাজ করতে পারে, তবে এটি বাচ্চার জন্য নিরাপদ কিনা তা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
- মৌখিক ঔষধঃ বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ মৌখিক কিছু ঔষধ হলোঃ সাক্লিন বা ক্যালমিন লোশন।
গলা ব্যথা অবস্থায় গরম পানি খেলে কি হয়
গলা ব্যথা অবস্থায় গরম পানি খেলে কি হয় তা নিয়ে অনেকেই জানেন না এই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব গলা ব্যথা অবস্থায় গরম পানি খেলে কি হয় তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক গলা ব্যথাতে গরম পানি খেলে তাতে কিছু দারুন উপকার আছে যেমন ঃ
স্বস্তি পাওয়া যায় ঃ গরম পানি গলা ব্যথা কম করে তোলে এবং আরাম নিশ্চিত করে।
মিউকাস দূর করতে সাহায্য করে ঃ গরম পানি গলায় জমে থাকা শ্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করে যা আমাদের কাশির সৃষ্টি করে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ঃ গরম পানির কারনে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা আমাদের শরীরের টিস্যু পুন্রুদ্ধারে সাহায্য করে।
তবে অত্যান্ত গরম পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত কারন এতে গলার আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে। আতি অতিরিক্ত গরম খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
ঠান্ডা আবহাওয়ায় গলা ব্যাথা হলে করণীয়
ঠান্ডা আবহাওয়ায় গলা ব্যাথা হলে করণীয় কিছু গুরুত্তপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া তাৎক্ষনিক প্রয়োজন তা নাহলে তা বড় রুপ ধারন করতে পারে তাই সতর্কতা মানা জরুরী তো চলুন জেনে নেয়া যাক
গরম পানির গড়গড়া করুন ঃ একটি গ্লাস এ গরম পানি নিয়ে তাতে হালকা লবন মিশিয়ে তা দিয়ে গড়গড়া করে ফেলুন।
গরম পানীয় পান করুন ঃ গরম পানীয় যেমন ঃ চা, গরম পানি, স্যুপ ইত্যাদি।
আদ্রতা বজায় রাখুন ঃ ঘরের আদ্রতা ঠিক রাখার জন্য আদ্রতা বজায় রাখার যন্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরাম করুন ঃ পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া খুব জরুরী এটি শরীরকে শক্তিশালী ও কর্মঠ করে তোলে।
হালকা খাবার ঃ মশলা বা তীব্র স্বাদের খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম, সেক্ষেত্রে হালকা খাবার যেমন ঃ রুটি, কলা, বিস্কেট ইত্যাদি যেসকল শুকনো খাবার রয়েছে সেগুলো।
ভাপ দিন ঃ গরম পানি দিয়ে ভেজানো কাপড় বা আগুনে সেঁক দেয়া কাপড় দিয়ে ওখানে ভাপ দিন এতে করে অনেকটা আরাম পাবেন।
হলুদ ও মধু ঃ হলুদ ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে গলার প্রদাহ ও ব্যথা কমাবে।
সাবধানতা অবলম্বন ঃ ঠান্ডা লাগা হতে বিরত থাকুন, ঠান্ডা আবহাওয়ায় সঠিক পোষাক পরিধান ও খাবার খান।
চিকিৎসকের পরামর্শ ঃ গলা ব্যথা অনেক সময় বেশি হতে পারে বা অনন্যা সমস্যা দেখা দিতে পারে তখন সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এই পদক্ষেপ গুলো মেনে চললে আপনি দ্রুত সুস্থতার মুখ দেখতে পাবেন।
ঢোক গিলতে গেলে গলা ব্যাথা হলে করণীয়
ঢোক গিলতে গেলে গলা ব্যাথা হলে করণীয় নিয়ে জানেন না তবে পড়তেই থাকুন ঃ সাধারণত ঢোক গিলতে গেলে গলা ব্যাথা হলে এই পদক্ষেপ গুলো মেনে চললে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তো চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক সেগুলো কি কি -আদ্রতা বজায় রাখুন ঃ ঘরের আদ্রতা ঠিক রাখার জন্য আদ্রতা বজায় রাখার যন্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
হালকা খাবার ঃ মশলা বা তীব্র স্বাদের খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম, সেক্ষেত্রে হালকা খাবার যেমন ঃ রুটি, কলা, বিস্কেট ইত্যাদি যেসকল শুকনো খাবার রয়েছে সেগুলো।
হলুদ ও মধু ঃ হলুদ ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে গলার প্রদাহ ও ব্যথা কমাবে।
বিশ্রাম নিন ঃ পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া খুব জরুরী এটি শরীরকে শক্তিশালী ও কর্মঠ করে তোলে।
সাবধানতা অবলম্বন ঃ ঠান্ডা লাগা হতে বিরত থাকুন, ঠান্ডা আবহাওয়ায় সঠিক পোষাক পরিধান ও খাবার খান।
চিকিৎসকের পরামর্শ ঃ গলা ব্যথা অনেক সময় বেশি হতে পারে বা অনন্যা সমস্যা দেখা দিতে পারে তখন সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ঘরোয়া উপায়ে গলা ব্যাথা কমানোর উপায়
ঘরোয়া উপায়ে গলা ব্যাথা কমানোর উপায় নিয়ে জানতে চান তবে পড়তেই থাকুন এই অংশে আমরা জানব ঘরোয়া উপায়ে গলা ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে ঃ
হলুদ ও মধু ঃ হলুদ ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে গলার প্রদাহ ও ব্যথা কমাবে।
হালকা খাবার ঃ মশলা বা তীব্র স্বাদের খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম, সেক্ষেত্রে হালকা খাবার যেমন ঃ রুটি, কলা, বিস্কেট ইত্যাদি যেসকল শুকনো খাবার রয়েছে সেগুলো।
লবন পানি দিয়ে গড়গড়া ঃ এক গ্লাস গরম পানি সাথে এক চামচ লবন মিশিয়ে তা খেয়ে ফেলতে হবে এতে করে কিছুটা হলেও আরাম পাওয়া যাবে।
গরম চা পান করুন ঃ আদা, লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে এতে করে অনেকটা আরাম অনুভুত হবে।
আপেল সিডার ভিনেগার ঃ এটি গরম পানির সাথে মিশিয়ে পান করুন আরাম পাবেন এবং সাথে ব্যাকটেরিয়াও নির্মূল করবে।
দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর উপায়
দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর উপায় নিয়ে জানতে চান তবে পড়তেই থাকুন ঃ এই অংশ পড়লে আপনি জানতে পারবেন ঃ
বেশি পানি পান করুন ঃ পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করার চেস্টা করুন, এতে গলাতে আদ্রতা বজায় থাকবে।
হট পানির প্যাক ঃ গরম পানিতে ভেজানো গামছা গলার আশেপাশে জড়িয়ে রাখুন, এতে আরাম অনুভুত হবে।
মধু আর লেবু ঃ এক চামচ লেবু তার সাথে মধু মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন এতে করে অনেকটা আরাম অনুভব করবেন।
স্টিম ইনহেলেজেশন ঃ গরম পানির বাস্প শ্বাস নিন এতে করে অনেকটা আরাম পাবেন।
এই পদক্ষেপ গুলো মেনে চললে দ্রুত গলা ব্যথা কমে যাবে। তারপরেও যদি না কমে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন ।
গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম
গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম নিয়ে ভাবছেন তবে এই অংশে জানতে পারবেন তো চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম নিয়ে বিস্তারিত ঃ
- পেনিসিলিন ঃ ব্যক্টেরিয়া সংক্রমন রোধ করে এবং তা গোড়া থেকে নির্মূল করে।
- অ্যামোক্সলিন ঃ এটি সাধারণত ব্যাথার ঔষধ হিসেবে কাজ করে, গলা ব্যাথার ক্ষেত্রেও ভালো কাজ করে।
- সেফালোস্ফেরিন ঃ গলা ব্যাথার ক্ষেত্রেও ভালো কাজ করে।
- এজিথ্রোমাইসিন ঃ পেনিসিলিন এর মত কাজ করে ।
শেষ কথা
এ আর্টিকেলটিতে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি গলা ব্যাথার ঔষধের নাম,দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ঔষধ নিয়ে বিস্তারিত আপনার যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তবে এরকম আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে ভিজিট করতে থাকুন প্লাস পয়েন্ট আইটিতে । ধন্যবাদ।।
প্লাস পয়েন্ট আইটির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url